📚 কবিতা সমগ্র জগতে আপনাকে স্বাগতম 📚 বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক 📚 বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না 📚 আপনার প্রিয়জনকে বই উপহার দিন 📚 ধন্যবাদ 📚

প্রতিমা

"প্রতিমা"
______রুদ্রাক্ষ অহম

পূজাপার্বণে আমার তেমন কিচ্ছু যায় আসেনা।

তবে তোমার যে প্রতিমা দিনরাত
আমায় প্রশান্তির দুয়ার খুলে দেয়-
তাতে আমার যথেষ্ট কিছু যায় আসে।
ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি-
প্রিয়তমার আরাধনায় আমি যে স্থিরতা খুঁজে পাই-
তার বিন্দুমাত্র অন্যকোথাও আমাকে এতটুকু স্পর্শ করতে পারেনা।



শুনেছি সমুদ্রে হাংঙ্গর এসেছে

শুনেছি সমুদ্রে হাংঙ্গর এসেছে

                               —নৈঋত মুন 

কত দূর,
কতটা পথ!
কত প্রহর,
কতটা গেলে —
সেখানে কি ঘুম!
শুনেছি সমুদ্রে হাংঙ্গর এসেছে,
ওখানে ঝিনুক নীরবে তীরে এসে দাঁড়িয়ে!
পাশের পাহাড়ে মেঘ ছুঁয়ে যায়,
পাহাড়ি ঝর্ণা বেয়ে নেমে আসে জল।
সে জলে ভিজে শুদ্ধ হয়ে,
স্নান করে নদীর ভাঁটায়!

অবুঝের সমীকরণ- আল মাহমুদ

কবিতা বোঝে না এই বাংলার কেউ আর  
 দেশের অগণ্য চাষী, চাপরাশী  
 ডাক্তার উকিল মোক্তার  
 পুলিস দারোগা ছাত্র অধ্যাপক সব  
 কাব্যের ব্যাপারে নীরব!  
  
 স্মাগলার আলোচক সম্পাদক তরুণীর দল  
 কবিতা বোঝে না কোনো সঙ  
 অভিনেত্রী নটী নারী নাটের মহল  
 কার মনে কাতোটুকু রঙ?  
 ও পাড়ার সুন্দরী রোজেনা  
 সারা অঙ্গে ঢেউ তার, তবু মেয়ে  
 কবিতা বোঝে না!  
  
 কবিতা বোঝে না আর বাংলার বাঘ  
 কুকুর বিড়াল কালো ছাগ,  
 খরগোস গিরগিটি চতুর বানর  
 চক্রদার যত অজগর!  
  
 কবিতা বোঝে না এই বাঙলার বনের হরিণী  
 জঙ্গলের পশু-পাশবিনী।  
 শকুনী গৃধিনী কাক শালিক চড়ুই  
 ঘরে ঘরে ছুঁচো আর উই;  
 বাংলার আকাশের যতেক খেচর  
 কবিতা বোঝে না তারা। কবিতা বোঝে না অই  
 বঙ্গোপসাগরের কতেক হাঙর! 

কাঁপুনি-আল মাহমুদ


শেষ হয়নি কি, আমাদের দেয়া-নেয়া?  
 হাত তুলে আছে, পাড়ানি মেয়েটি  
 বিদায়ের শেষ খেয়া,  
 ডাকছে আমাকে হাঁকছে আমাকে  
 আমিই শেষের লোক।  
 শ্লোক শেষ হলো, অন্ত-মিলেরও শেষ।  
 কাঁপছে নায়ের পাটাতন বুঝি  
 ছেড়ে যেতে উৎসুক।  
  
 আমি চলে গেলে এ পারে আঁধারে কেউ থাকবে না আর  
 সব ভেসে গেছে এবার তবে কি ভাসাবো অন্ধকার?  
 আলো-আঁধারির এই খেলা তবে আমাকে নিয়েই শেষ  
 আমার শরীর কাঁপছে যেমন কাঁপছে বাংলাদেশ।